লাফিয়ে বেড়েই চলেছে চাউল এর দাম।
লাফিয়ে বেড়েই চলেছে চাউল এর দাম।প্রতি বছর ধানের মৌসুমে চালের দাম কমেলেও এবার সদ্য সমাপ্ত আমনের মৌসুমেও চালের দাম কমেনি। বরং উলটো বেড়েছে এবং এখনো বাড়ছে। সরু চালের পর এবার মোটা ও মাঝারি মানের চালের দামও বাড়ল। শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা করে বেড়েছে। প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ৬৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহে এই চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৬৬ টাকায়। একইভাবে মিনিকেট চাল কেজি ৬৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালও বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।চালের এ অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতি বছর কোনো কারণ ছাড়াই রমজানে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। এবার রমজানের এক/দেড় মাস আগেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর কৌশল নিয়েছেন। যাতে রমজানে দাম বাড়ানোর জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে না হয়।
এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, ‘যেভাবে চাল আমদানি এভাবে চালের দাম কমবে না। চালের দাম কমতে হলে চালের আমদানি বাড়াতে হবে।’চালের পাশাপাশি গত কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও মুরগির। প্রতি কেজি আলুতে দুই টাকা বেড়ে ১৬ থেকে ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মানভেদে পেঁয়াজের কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে পাঁচ টাকা। এরমধ্যে দেশি পেঁয়াজের কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজে দুই টাকা বেড়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত আদার দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে মানভেদে ৭০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগির দাম গত সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নতুন করে ভোজ্য তেলের দাম না বাড়লেও এখনো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে রান্নার অতি প্রয়োজনীয় এ পণ্যটি। গতকাল খুচরাবাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ও খোলা সয়াবিন ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া সুপার পাম অয়েল ১০৫ থেকে ১০৭ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে