গণপরিবহন সঙ্কটে বিক্ষোভ করেছে যাত্রীরা।
বাসে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এর ফলে গণপরিবহন সঙ্কটে ভুগছেন যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে না পেরে অফিসগামীদের ভোগান্তি চরমে। এর প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেছেন যাত্রীরা।
গত সোমবার (২৯ মার্চ) করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। বাসসহ সব গণপরিবহনে অর্ধেক সিট খালি রেখে যাত্রী তুলতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন অফিসও ৫০ শতাংশ জনবলে চালাতে বলা হয়েছে। এরইমধ্যে গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছে ৬০ শতাংশ।
আজ সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে রাজধানীর খিলক্ষেতে বিমানবন্দর সড়কের দুইপাশে অবস্থান নেন তারা। এ সময় সড়কের দুই দিকেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাস থেকে যাত্রীরা সড়কে নেমে এসে বিক্ষোভকারীদের সাথে যোগ দেন।
তাদের দাবি, সকাল থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টপেজে দাঁড়িয়ে থেকে বাসে উঠা যাচ্ছে না। বাসের দরজা বন্ধ। একদিনে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে, অন্যদিকে শত চেষ্টা করেও বাসে সিট পাওয়া যাচ্ছে না। এতে দুর্ভোগের শেষ নেই। এর স্থায়ী সমাধান চাচ্ছেন তারা।যাত্রীদের অভিযোগ, ‘করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয় বাসে অর্ধেক সিট খালি রেখে বাস চলাচল করতে হবে। সে কারণে পরিবহনগুলো উত্তরা কিংবা গাজীপুর বাস স্টপেজ থেকে যাত্রী উঠিয়ে বাসের গেট বন্ধ করে অন্য গন্তব্যের দিকে রওনা হয়। এতে করে রাস্তায় বাসের জন্য অপেক্ষমান থাকা যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছে। সব বাস গেট বন্ধ করে চলাচল করছে। আমরা সকাল থেকে অপেক্ষা করেও কোনো বাসেই উঠতে পারছি না। এই কারণেই আমরা রাস্তায় অবরোধে বাধ্য হয়েছি।’
করোনা পরিস্থিতির কারণে বাসগুলো অর্ধেক যাত্রীর বেশি তুলছে না। এর ফলে অফিসগামী মানুষরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে পারছেন না। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে খিলক্ষেত ওভার ব্রিজের নিচে রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নেন বলে জানান,খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী ছাব্বীর আম্মদ।এর মধ্যে পুলিশ বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। প্রায় ২০ মিনিট পর বিক্ষুব্ধরা সরে গেলে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।